আর মাত্র কয়েকদিন পরই শুরু হচ্ছে মাহে রমযান। এটি মুসলিমদের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। শুধু সুবেহ সাদিক থেকে মাগরিব পর্যন্ত না খেয়ে থাকার নামই রোযা পালন করা নয়। এর সাথে রয়েছে আরো কিছু বিধিনিষেধ। সব নিয়ম পালন করে তবেই মুসলিমরা রোযা পালন করে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে রোযার বহুবিধ উপকার রয়েছে।অনেক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, রোযা রাখলে শরীর ভালো থাকে। হার্ট ভালো থাকার পাশাপাশি ক্যানসারের প্রবণতাকেও কমিয়ে দেয় রোযা।
আসুন জেনে নেয়া যাক রোযার কয়েকটি উপকারিতা

গ্রোথ হরমোন
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রোযা রাখলে গ্রোথ হরমোন তৈরি বেড়ে যায়। যেটি শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে বয়সকেও ধরে রাখতে সাহায্য করে রোযা।

চর্বি কমিয়ে দেয়
রোযা রাখলে স্বাভাবিকভাবেই শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় চর্বির ক্ষয় হয়। কারণ গ্রোথ হরমোন তৈরি বেড়ে গেলে তা চর্বিকে কসিয়ে দেয়।

ক্ষুধা হরমোনকে কমিয়ে দেয়
অতিরিক্ত ক্ষুধাকে নিয়ন্ত্রণ করে রোযা। ক্ষুধা হরমোনের উৎপাদন কমে গেলেই ধীরে ধীরে বেশি খেতে চাওয়ার ইচ্ছা কমে আসে যা শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে দেয় না।

ক্যানসারের প্রবণতা কমায়
রোযার ফলে কোষের ক্ষতি কমে যায়। যা ক্যানসারের প্রবণতা কমিয়ে দেয়। এছাড়াও শরীরে অতিরিক্ত এনার্জি তৈরি হয় রোযার ফলে।

টক্সিন বের করে দেয়
রোযার ফলে দেহের ক্ষতিকর টক্সিন বেরিয়ে যায়। ফলে দেহের নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্ষতির হাত থেকে বাঁচে।

মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়
রোযা ফলে মস্তিষ্কে প্রোটিন তৈরি হয় ও নানা রাসায়নিক নিঃসরণের ফলে আদতে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

ডায়বেটিসের প্রবণতা কমায়
শরীরে ইনসুলিনের প্রতিরোধ ঠিক না থাকাই প্রাথমিকভাবে ডায়বেটিসের প্রধান কারণ। রোযা রাখলে তা বজায় থাকে।

হার্টের অসুখ কমায়
রোযা রাখলে শরীরে জমে থাকা কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেকটাই কমে যায় যা হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

পেটের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে
মেটাবলিজমের প্রধান জায়গা হল পেট। টক্সিনগুলি প্রথমে পেটে গিয়ে জমা হয়। এরপর প্রস্রাবের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এটি একটি অবিরাম প্রক্রিয়া। রোযা রাখলে পেটের খানিক বিশ্রাম হয়। ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলিকেও সারিয়ে নিতে পারে পেট।

মানসিক আরোগ্য লাভ
শুধু শারীরিক নয়, মানসিকভাবেও আপনাকে সুস্থ থাকতে হবে। রোযা সাধারণত মানসিকভাবেও আপনাকে চাঙা ও শক্তিশাল

স্বাস্থ্য যেসব কারণে সারাদিন রোযার পরও শরীর সুস্থ থাকে -
No comments:
Post a Comment