Sunday, June 14, 2015
রাজধানীর রামপুরায় ধর্ষিতা এক গৃহবধূকে দিনভর
রাজধানীর রামপুরায় ধর্ষিতা এক গৃহবধূকে দিনভর থানায় বসিয়ে রেখে মামলা না নিয়ে রাতে ৫হাজার টাকা দিয়ে বিদায় করেছেন থানার কর্মকর্তারা। আর এ বিষয়ে কোন উচ্চবাচ্য না করার জন্যও ওই নারীকে হুমকি দেন। গণ ধর্ষনের শিকার ওই নারীকে শনিবার ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেন তার স্বামী। এরপর পুলিশের সহযোগিতা না পাওয়ার আশঙ্কায় নিজ বাড়ি কিশোরগঞ্জে ফিরে তারা।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের এক গহবধূ তার স্বামী মোমিনকে নিয়ে শুক্রবার সকালে পশ্চিম রামপুরা এলাকায় তার এক খালার বাসায় আসেন। ওই খালা একজন গৃহপরিচারিকা। তাদের রেখে খালা তার কাজে চলে যান।
অপরদিকে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন যুবক তাদের দুজনকে বাসায় দেখে স্বামী-স্ত্রী কি না তা চ্যালেঞ্জ করা হয়। এরপর ঘরের ভেতরে ঢুকে জোর করে তাদের স্বর্ণালঙ্কার নগদ টাকা পয়সা কেড়ে নেয়। শুধু তাই নয় সন্ত্রাসীরা ওই গৃহবধূর স্বামীকে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, স্থানীয় সন্ত্রাসী সুজন (২২), মইন (১৯), কালা আরিফ (২০) ও রাহাত (১৮)। এরপর পাশের ঘরের লোকজনের দেয়া খবরের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে পুলিশ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
সারাদিন তাদেরকে থানায় আটক রেখে ধর্ষকদের সঙ্গে দেনদরবারে ব্যবস্থা থাকেন ওই অভিযানে অংশ নেয়া রামপুরা থানার এসআই মামুন ও এএসআই মাহমুদসহ পুলিশের একটি দল।
শত পিড়াপড়িেিতও তদের থানা থেকে বের হতে দেয়া হয়নি। রাতে তাদের ছেড়ে দিলে হালিমা নামের ওই খালার বাসায় ফেরেন তারা। এরপর রাতে পাশের বাসার লোকজন তাদের মামলা করতে পরামর্শ দেন। পরে সকালে আবারও থানায় যান স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু পুলিশ তাদের কোন অভিযোগ গ্রহণ করেনি।
ওই বাসা থেকে পুলিশ কর্তৃক উদ্ধারকৃত বিভিন্ন আলামত ফেরত চাইলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সেগুলো ফেলে দেয়া হয়েছে। আবার এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য বলে দেন ওই কর্মকর্তা। পরে থানা থেকে ফিরে তারা দুজনাই যান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে। সেখানে ওই গৃহবধূকে ওসিসিতে ভর্তি রাখার জন্য বলা হয়। কিন্তু স্বামীর থাকার জায়গা না থাকায় তারা রাজী হননি।
এ ব্যাপারে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান শীর্ষ নিউজকে বলেন, গৃহবধূকে কোন টাকা দেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় একজন ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের জন্য গ্রেফতারের চেস্টা চালানো হচ্ছে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment