Thursday, July 16, 2015

আমার প্রানপ্রিয় সোনাগাজী, দাগনভূঞা ও ফেনী বাসি আপনাদেরকে জানাই পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক।

আমার প্রানপ্রিয় মুসলিম ভাইরা ও বোনেরা আসামুলাকুম আপনাদেরকে জানাই পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক। 
Share/Bookmark

Monday, July 6, 2015

ইসলাম নিয়ে গাফফার চৌধুরীর কটুক্তির আমি প্রতিবাদ করছি ও অবিলম্বে তার শাস্তির দাবী করছি ।

ইসলাম নিয়ে গাফফার চৌধুরীর কটুক্তির আমি প্রতিবাদ করছি ও অবিলম্বে তার শাস্তির দাবী করছি ।
গত ৩ জুলাই নিউ ইয়র্কে এক আলোচনা সভায় মহান আল্লাহ তায়ালার ৯৯ নাম, রাসূল (সঃ), আরবী ভাষা ও মুসলিম নারীদের হিজাব পরা এবং হযরত আবু বকর (রা:) ও হযরত আবু হোরায়রা (রা:)-এর নাম সম্পর্কে বিতর্কিত কলাম লেখক আঃ গাফ্ফার চৌধুরী কুরুচিপূর্ণ মনগড়া বক্তব্যের প্রতিবাদ ও অবিলম্বে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি। আমি বল সরকারকে বাংলাদেশে আনার জন্য আনার পর তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি করার জন্য। সকল মুসলমান কি এক মত তাহলে লাইক করেন আর তার বক্তব্যের প্রতিবাদ ও অবিলম্বে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন ॥
Share/Bookmark

Wednesday, July 1, 2015

আল্লাহর সৃষ্টির বিশালতা


Share/Bookmark

Sunday, June 14, 2015

pic islami


Share/Bookmark

রাজধানীর রামপুরায় ধর্ষিতা এক গৃহবধূকে দিনভর

রাজধানীর রামপুরায় ধর্ষিতা এক গৃহবধূকে দিনভর থানায় বসিয়ে রেখে মামলা না নিয়ে রাতে ৫হাজার টাকা দিয়ে বিদায় করেছেন থানার কর্মকর্তারা। আর এ বিষয়ে কোন উচ্চবাচ্য না করার জন্যও ওই নারীকে হুমকি দেন। গণ ধর্ষনের শিকার ওই নারীকে শনিবার ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেন তার স্বামী। এরপর পুলিশের সহযোগিতা না পাওয়ার আশঙ্কায় নিজ বাড়ি কিশোরগঞ্জে ফিরে তারা। জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের এক গহবধূ তার স্বামী মোমিনকে নিয়ে শুক্রবার সকালে পশ্চিম রামপুরা এলাকায় তার এক খালার বাসায় আসেন। ওই খালা একজন গৃহপরিচারিকা। তাদের রেখে খালা তার কাজে চলে যান। অপরদিকে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন যুবক তাদের দুজনকে বাসায় দেখে স্বামী-স্ত্রী কি না তা চ্যালেঞ্জ করা হয়। এরপর ঘরের ভেতরে ঢুকে জোর করে তাদের স্বর্ণালঙ্কার নগদ টাকা পয়সা কেড়ে নেয়। শুধু তাই নয় সন্ত্রাসীরা ওই গৃহবধূর স্বামীকে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, স্থানীয় সন্ত্রাসী সুজন (২২), মইন (১৯), কালা আরিফ (২০) ও রাহাত (১৮)। এরপর পাশের ঘরের লোকজনের দেয়া খবরের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে পুলিশ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। সারাদিন তাদেরকে থানায় আটক রেখে ধর্ষকদের সঙ্গে দেনদরবারে ব্যবস্থা থাকেন ওই অভিযানে অংশ নেয়া রামপুরা থানার এসআই মামুন ও এএসআই মাহমুদসহ পুলিশের একটি দল। শত পিড়াপড়িেিতও তদের থানা থেকে বের হতে দেয়া হয়নি। রাতে তাদের ছেড়ে দিলে হালিমা নামের ওই খালার বাসায় ফেরেন তারা। এরপর রাতে পাশের বাসার লোকজন তাদের মামলা করতে পরামর্শ দেন। পরে সকালে আবারও থানায় যান স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু পুলিশ তাদের কোন অভিযোগ গ্রহণ করেনি। ওই বাসা থেকে পুলিশ কর্তৃক উদ্ধারকৃত বিভিন্ন আলামত ফেরত চাইলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সেগুলো ফেলে দেয়া হয়েছে। আবার এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য বলে দেন ওই কর্মকর্তা। পরে থানা থেকে ফিরে তারা দুজনাই যান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে। সেখানে ওই গৃহবধূকে ওসিসিতে ভর্তি রাখার জন্য বলা হয়। কিন্তু স্বামীর থাকার জায়গা না থাকায় তারা রাজী হননি। এ ব্যাপারে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান শীর্ষ নিউজকে বলেন, গৃহবধূকে কোন টাকা দেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় একজন ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের জন্য গ্রেফতারের চেস্টা চালানো হচ্ছে।
Share/Bookmark

জামায়াত ছাড়তে আন্তর্জাতিক কোন চাপ নেই

২০ দলীয় জোট থেকে জামায়াত ছাড়ার বিষয়ে আন্তর্জাতিক কোন চাপ নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন। বলেছেন, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির জোট গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও ভোটের। এই জোটে আন্দালিভ রহমান পার্থের বিজেপিও আছে। সাম্যবাদী দলও আছে। তারা তাদের রাজনীতি করে। আর আমরা জিয়াউর রহমানের দর্শনের রাজনীতি করি। জামায়াত ছাড়ার বিষয়ে আন্তর্জাতিক কোন চাপ আমার কাছে অনুভূত হয়নি। আজ বিকালে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বি. চৌধুরী মন্তব্যের প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব ছিলেন। তিনি আরেকটি দল করলেও তার দর্শন জিয়াউর রহমানের আদর্শ। তার ওই মন্তব্য একান্তই তার ব্যক্তিগত বিষয়। তবে বিএনপি জামায়াত-নির্ভর দল নয়। বিএনপি জিয়াউর রহমানের দর্শন ও মূলনীতি দিয়ে পরিচালিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি,
Share/Bookmark

আমি ওই থানায় থাকব না'। ধর্ষণের শিকার ও ই নারী পুলিশ সদস্যের ভাই

সকল মুসলিম ভাইয়েরা প্রতিজ্ঞা করুন, যে কোনো বেপর্দা, বেনামাজি মেয়েকে কেউ বিয়ে করবেন না । সকল মুসলিম বোনেরা প্রতিজ্ঞা করুন, যে কোনো বেপর্দা, বেনামাজি ছেলেকে কেউ বিয়ে করবেন না । { আমিন বলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়েই রুম থেকে বেরিয়ে আসলেন রাজধানীর খিলগাঁওয় থানার এক এএসআইয়ের নেতৃত্বে গণধর্ষণের শিকার সেই নারী কনস্টেবল। কোন প্রশ্নের সুযোগ না দিয়েই তড়িঘড়ি করে বলতে থাকলেন 'আমি তুরাগ থানায় থাকি। ওখানকার ওসি, আমাকে সব সময় একটা মানসিক চাপের মধ্যে রাখে। ওখানে মমিন নামে এক মুন্সি আছে, এএসআই আছে, যে আমাকে সব সময় প্রেসারে রাখে...। আমি ওই থানায় থাকব না'। ধর্ষণের শিকার ও ই নারী পুলিশ সদস্যের ভাই গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, ২০১১ সালে তাঁর বোনের বিয়ে হয় ওই খিলগাঁও থানার সহকারী উপপরিদর্শকের (এএসআই) সঙ্গে। ২০১৪ সালে তাঁদের ডিভোর্স হয়ে যায়। তাঁদের ঘরে এক সন্তানও রয়েছে। গত ১০ জুন বিকেল ৪টার দিকে এএসআই ফোন করে তাঁর বোনকে সব ঝামেলা মিটিয়ে নতুন করে সংসার করার কথা বলেন। পরে তাঁর বোন কথামতো সেদিনই ওই তাঁর বাসায় গেলে তিনি ও তাঁর চার সহযোগী মিলে বোনকে ধর্ষণ করেন। পর দিন এ ঘটনায় খিলগাঁও থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন ধর্ষিতার ভাই। তিনি জানান, ১২ জুন রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে ভর্তি হলে ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার জন্য আজ শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। -
Share/Bookmark

সকল মুসলিম ভাইয়েরা প্রতিজ্ঞা করুন, যে কোনো বেপর্দা, বেনামাজি মেয়েকে কেউ বিয়ে করবেন না । সকল মুসলিম বোনেরা প্রতিজ্ঞা করুন, যে কোনো বেপর্দা, বেনামাজি ছেলেকে কেউ বিয়ে করবেন না । { আমিন বলেন }

মেয়েটি আমার অফিসে প্রথম এসেছিল বছর দুয়েক আগে। মাথায় হিজাব এবং সারা শরীর কালো বোরকায় ঢাকা। শরীরটি বেশ মোটাসোটা কিন্তু মুখটি অসম্ভব মায়াবী। বয়স বোঝার উপায় নেই। শরীরের ভাবগাম্ভীর্যে মনে হবে হয়তো পঞ্চাশ- আবার মুখচ্ছবি বলে দেয়- ওতো নয়; বড়জোর পঁচিশ বা ছাব্বিশ বছর হবে। আমার সামনে বসে সে রীতিমতো ঘামতে আরম্ভ করল। কেমন যেন ভয়ার্ত ভয়ার্ত ভাব। মাথা নুইয়ে হাতব্যাগে কি যেন খুঁজছিল। আমি খানিকটা বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম- কে আপনি! আমার কাছে কেন এসেছেন। মেয়েটি সলজ্জ ভঙ্গিতে মাথাটি নুইয়ে বলল- আমার নাম সুহালা (ছদ্মনাম)। আমি একাকী অনেক কবিতা লিখি, আপনাকে সেই কবিতাগুলো দেখাতে এসেছি। সুহালার কথা শুনে আমি যারপরনাই বিরক্ত ও বিব্রত হলাম। বললাম- আমার কাছে কেন! আমি তো কোনো কবি নই। তাছাড়া আপনাকে চিনি না জানি না, কোনো দিন কথাও হয়নি, হুট করে আমার রুমে এসে ঢুকে পড়লেন, এখন বলছেন কবিতা দেখাতে এসেছেন। সুহালা কি বুঝল জানি না- তার ডাগর ডাগর মায়াভরা দুটি অাঁখি মেলে এই প্রথম সে আমার দিকে সরাসরি তাকাল। আমি দেখলাম, মুহূর্তের মধ্যে তার চোখ দুটি অশ্রুতে পরিপূর্ণ হয়ে গেল এবং সেখান থেকে অঝোরে টপাটপ অশ্রু ঝরতে লাগল। ঘটনার আকস্মিকতায় আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়লাম। আমার গলা শুকিয়ে গেল, হাত-পা কাঁপতে লাগল। আমি যে সময়টার কথা বলছি তখন রাজনৈতিক কারণে অনেকের সঙ্গে আমার বিরোধ তুঙ্গে। আমাকে সবাই নিষেধ করত অজানা লোকের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ দূরের কথা, ফোনেও যেন হাই-হ্যালো না বলি, বিশেষ করে মেয়েদের সঙ্গে। আমি এক গ্লাস পানি খেলাম এবং কম্পিত গলায় বললাম- কই আপনার কবিতাগুলো কোথায়! আমার কথা শুনে সুহালা ফিক করে হেসে দিল। কবিতা লেখা কাগজগুলো আমার সামনে মেলে ধরতে ধরতে বলল- স্যার! আমার বয়স মাত্র ২৭ বছর। আমি আপনার ছোট বোনের মতো। আমাকে তুমি করে বলবেন। আমি তার দিকে না তাকিয়ে দ্রুততার সঙ্গে কবিতাগুলোর ওপর নজর বুলাতে থাকলাম। বেশিরভাগই ছড়া। নিঃঙ্গতা এবং মনের কিছু আকুলতা ও ব্যাকুলতা প্রকাশের শিশুতোষ চেষ্টা। আমি প্রশ্ন করলাম, আপনি কি বিবাহিত? সে বলল, স্যার আমার বিয়ে হয়েছে ১৪ বছর আগে। তিনটি ছেলেমেয়ে। স্বামী দেশের নামকরা একটি গ্রুপে বড় চাকরি করেন এবং আমার আব্বা একজন প্রথম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা। সুহালার কথা শুনে আমার মনের ভয় ও জড়তা দূর হয়ে গেল। আমি আর দুই-একটি প্রশ্ন করে যা জানলাম তাতে বুঝলাম যে তার স্বামী বড়ই ধর্মভীরু এবং তাকে সব সময় কঠিন শাসনের মধ্যে রাখে। পর্দা মেনে চলাসহ ইসলাম ধর্মের খুঁটিনাটি সব বিষয় যাতে স্ত্রী অনুসরণ করে এ ব্যাপারে স্বামী একচুল ছাড় না দিতে নারাজ। সুহালার কথার উত্তরে আমি বললাম বেশ ভালোই তো। তা তিনি তোমায় কিরূপে শাসন করেন? তাছাড়া তুমি কি কি বিষয়ে তার অবাধ্য হও? সে নির্দ্বিধায় বলল- আমার কোনো কিছু পছন্দ না হলে তিনি আমাকে ছেঁচা দেন। আমি প্রতিবাদ করি না। মেনে নিই। কারণ লোকটি ভালো, শুধু কথায় কথায় ধমক দেওয়া এবং বদমেজাজ দেখানো ছাড়া। আমি সব কিছুই তার হুকুম মতো করি। মাঝে মধ্যে গুনগুনিয়ে গান গাই- গোপনে কবিতা লিখি এবং আরও গোপনে ফেসবুকে চ্যাট করি। সে গান একদম পছন্দ করে না। আমাকে গান গাইতে শুনলে লাঠি নিয়ে তেড়ে আসে। বিয়ের পর শত বাধা সত্ত্বেও এমএ পাস করেছি- ইচ্ছা নিজে কিছু একটা করব। কিন্তু স্বামীর ভয়ে কিছুই করতে পারি না। সে এতটাই কনজারভেটিভ যে, রিকশায় পাশাপাশি বসে যদি একটু হাত ধরতে চাই তবে বকা দিয়ে বলে- ওসব হারাম। আমি কৌতুক করে বললাম, আজ যে আমার অফিসে কবিতা দেখাতে এসেছ সে কথা নিশ্চয় তোমার স্বামী জানে না। যদি জানে তবে কি হবে। সুহালা নিষ্পাপ হাসি দিয়ে বলল- ছেঁচতে ছেঁচতে ছাতুর মতো গুঁড়া করে ফেলবে। আমি বললাম- এখন বাসায় যাও! স্বামীর অনুমতি ছাড়া আর কোনো দিন বাইরে যেয়ো না। সে কি বুঝল জানি না- আমার কথা শুনে ওঠে দাঁড়াল এবং সালাম জানিয়ে চলে যেতে উদ্যত হলো। আমি তাকে খুশি করার জন্য বললাম- কবিতাগুলো কিন্তু সুন্দর হয়েছে! আর মেয়েদের গানের কণ্ঠ তো সব স্বামীরই বেজায় পছন্দ! সুহালা আবার বসে পড়ল এবং আমার টেবিলে মাথা রেখে অঝোরে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে আরম্ভ করল। আমার নির্বুদ্ধিতার গুণমান দেখে মাঝে মধ্যে আমি নিজেই আশ্চর্য হয়ে যাই। স্ত্রী মহোদয়ার প্রশংসা না হয় বাদই দিলাম- আমার তিনটি সন্তান প্রায়ই আমাকে জড়িয়ে ধরে বলে- ওরে আমার বোকা বাবারে! সুহালার কান্নার ঢং দেখে আমার মাথার ঘিলু বরফ হয়ে গেল। আমি আবার কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়লাম। আমার ভয় হলো- এ অবস্থায় রুমে ঢুকে কেউ যদি দেখে ফেলে তবে আমি কি জবাব দেব! আমি কি তাকে ধমক দিয়ে বলব- এই মেয়ে কান্না থামাও! বা একটু সান্ত্বনার স্বরে বলব- কাঁদছ কেন! আমার মাথায় কোনো কাজ করছিল না- একবার ভাবলাম দৌড়ে রুম থেকে বের হয়ে যাই। তারপর ও কাঁদুক- যত ইচ্ছা কাঁদুক। আমি দাঁড়ানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু আমার পা দুটো কেমন জানি অবশ অবশ মনে হলো। ঠিক এমন সময় সুহালা মাথা ওঠালো এবং কান্নারত অবস্থায় বলল- স্যার একটা টিস্যু দেবেন। আমি কম্পিত হস্তে টিস্যুর বঙ্ এগিয়ে দিলাম। সে চোখ, নাক এবং মুখমণ্ডল মুছে ঝড়ের গতিতে রুম থেকে বের হয়ে গেল। সুহালা চলে যাওয়ার পর আমি তার অদ্ভুত আচরণ নিয়ে ভাবতে বসলাম। বহুক্ষণ ধরে বহুকাল ভেবে তেমন কুলকিনারা খুঁজে পেলাম না। আমার মনে হলো- ১৩ বছর বয়সে বিয়ে হওয়া একটি বালিকা তার চেয়ে কমপক্ষে ২০ বছরের বড় স্বামীকে প্রথম রাত থেকেই একটি মূর্তিমান আতঙ্ক মনে করে আসছে। গত ১৪ বছরে সে তিনটি সন্তানের মা হয়েছে। এমএ পাস করেছে এবং বিত্ত বিলাসে স্থূল দেহের অধিকারী হয়েছে বটে কিন্তু স্বামীর সামনে দাঁড়িয়ে নির্ভয়ে একটি টুঁ-শব্দ উচ্চারণ করার মানসিক জোর অর্জন করতে পারেনি। এরই মধ্যে একদিন দেখলাম ফেসবুকে সুহালা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছে। আমি সম্মতি দেওয়ার পর তার পোস্টগুলো আসতে লাগল। ছোট ছোট কবিতা- সবই বিষণ্নতায় ভরা, ২/১টা গানের অডিও ক্লিপ- মূলত বিরহাত্দক এবং মাঝে মধ্যে কিছু ছবি। এর কিছুদিন পর দেখি সুহালার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ডি অ্যাক্টিভেট করা। আমার কাছে তার কোনো ফোন নম্বর বা অন্য কোনো ডিটেইলস না থাকায় যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। ফলে ব্যস্ত জীবনের কর্মঘণ্টার চাপে আমি এক সময় সুহালাকে ভুলে যাই। প্রায় সপ্তাহখানেক আগে হঠাৎ করেই একদিন দুপুরে সুহালা আমার অফিসে এলো। আমার রুমে ভিআইপি গেস্ট ছিল। তাকে কনফারেন্স রুমে বসানো হলো। আমি এক ফাঁকে কনফারেন্স রুমে গিয়ে তাকে দেখে চিনতে পারলাম না। শরীর স্লিম হয়ে গেছে। পরনে কোনো বোরকা বা হিজাব নেই। আধুনিক স্যালোয়ার-কামিজ, স্নানগ্লাস এবং কার্লকরা ববকাট চুলের স্টাইল দেখে আমি থতমত খেয়ে গেলাম। সে সালাম দিয়ে বলল, রনি ভাই কেমন আছেন। আমি আরেক দফা হোঁচট খেলাম এবং বুঝতে পারলাম না- স্যার সম্বোধন থেকে হঠাৎ করে রনি ভাই বলার হেতু কি? সুহালা যেমন পরিবর্তিত হয়েছে, তেমনি গত দুই বছরে আমিও নিজেকে বাস্তবের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছি। যথাসম্ভব নির্লিপ্ত থেকে জিজ্ঞাসা করলাম- কি ব্যাপার। সিস্টার হঠাৎ আমার অফিসে! কোনো সমস্যা, সুহালা পুনরায় কান্নার চেষ্টা করল এবং ছলছল নেত্রে আমাকে কিছু কথা বলল। এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলার আগে শিরোনাম সম্পর্কে কিছু বলে নিই। আমাদের বাল্যকালে মরণব্যাধি বলতে সাধারণত ক্যান্সারকেই বুঝতাম। ইদানীং ভয়াবহতার দিক থেকে এইডস এবং ইবোলা ক্যান্সারকে অতিক্রম করেছে। এক সময় ডায়রিয়া গুটিবসন্তও মরণব্যাধি ছিল। যক্ষ্মা, কুষ্ঠরোগ ইত্যাদিও কম ভয়ঙ্কর ছিল না। কিন্তু ভয়াবহতার জনপ্রিয়তার দিক থেকে ক্যান্সার এখনো এগিয়ে। কারণ শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রতঙ্গ, রক্ত, অস্থিমজ্জা-এমনকি মস্তিষ্কের অতল গভীরে ক্যান্সার দানা বেঁধে মানুষকে শেষ করে দেয়। এ পর্যন্ত যত রোগবালাই পৃথিবীতে এসেছে তা কেবল দেহকেই আক্রমণ করেছে। মনকে করতে পারেনি। রোগাক্রান্ত শরীর অনেক সময় মনকে দুর্বল করে দেয় বটে কিন্তু আক্রান্ত হয়নি কোনো দিন। লক্ষ কোটি বছরের মানব মনের সেই ঐতিহ্য ইদানীং আর নেই। এখন মনুষ্য সমাজে, বিশেষত এই বাংলাদেশে, আরও পরিষ্কার করে বললে সব মহানগরী, নগরী এবং জনপদসমূহের লক্ষ কোটি নর-নারীর মন পরকীয়া নামক মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে তিলে তিলে ব্যক্তি, পরিবার এবং সমাজকে শেষ করে দিচ্ছে। পরকীয়া একটি আদিম ব্যাধি। ইতিপূর্বে এই ব্যাধির অধিক্ষেত্র ছিল সীমিত পরিমণ্ডলে, লোকচক্ষুর আড়ালে। আমাদের ছোটবেলায় আমরা কোনো দিন শব্দটি শুনিনি। কিছু প্রভাবশালী পুরুষ ছিল যারা একাধিক বিয়ে থা করে শান্তিপূর্ণভাবে ঘর-সংসার করত। লুচ্চা প্রকৃতির গরিব মানুষেরাও তিন/চারটা বিয়ে করত। কিছু কুলটা নারী পতিতালয় চলে যেত। অন্যদিকে চরিত্রহীন পুরুষরাও গোপনে নিষিদ্ধ পল্লীতে গমন করত। কিন্তু নিজের স্ত্রী রেখে পরস্ত্রী বা কন্যাসম কোনো নারীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক কল্পনাই করা যেত না। অন্যদিকে নারীরা নিজেদের সব সময় একটি সম্মানিত অবস্থানে ধরে রাখার চেষ্টা করতেন। কোনো বয়স্ক নারী তার ছেলের বয়সী পুরুষ কিংবা বালকের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক করবে একথা কাউকে বিশ্বাস করানো যেত না। সমাজের উপরের স্তরে, অর্থাৎ নেতৃত্ব পর্যায়ে যৌন বিকৃতি ছিল না বললেই চলে। কোনো ধর্মপরায়ণ হিন্দু বা মুসলমান জেনা, ব্যভিচার বা সমকামিতায় নিজেকে জড়িত করবে এমন বদনাম সমাজের নিকৃষ্ট এবং মন্দ লোকেরাও কোনো দিন করত না। চরিত্রের মধ্যে লুকোচুরি, মোনাফেকি এবং ভণ্ডামির মাত্রা খুব কম ছিল। হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সবাই প্রয়োজন-ইচ্ছে কিংবা রঙ্গরস করার জন্য নিয়মতান্ত্রিকভাবে একাধিক বিয়ে করত এবং সব স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব বহন করত। অন্যদিকে কোনো গৃহস্থের চার নম্বর পত্নী হওয়া সত্ত্বেও কোনো গৃহবধূ অন্য কোনো নাগরের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে এমন সংবাদ লোকমুখে শোনা যায়নি। বাঙালির সেই সুদিন আর নেই। প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সমাজে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে অমানবিক, নৃশংস এবং নির্মম পরকীয়া নামক বিষবাষ্প। হাজার কোটি টাকার মালিকের শিল্পপতির স্ত্রীর নজর এখন পিয়ন-ড্রাইভার এবং দারোয়ানের দিকে। কাজের বুয়ার ওপর গৃহকর্তার পাশবিক লোলুপ দৃষ্টি তো বহু পুরনো বাত হ্যায়। নতুন খবর হলো- মেয়ের ছেলেবন্ধুর হাত ধরে ৫৫ বছর বয়স্ক মহিলার গৃহত্যাগ। ৭০ বছরের বৃদ্ধ জোর গলায় বলে বেড়াচ্ছে তার নাকি ১০০র ওপর বান্ধবী আছে যাদের বয়স ৪০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। ৬৬ বছর বয়সের এক বৃদ্ধ বলল- তার আছে ২০ জন বান্ধবী যাদের সবার বয়স ৩০ বছরের মধ্যে। দেশের পাঁচতারা একটি হোটেলে রুম ভাড়া করে লোকটি প্রতি সপ্তাহে পালা করে চারজন বান্ধবীকে সঙ্গ দেয় এবং এসব খবর নাকি ওই মেয়েদের স্বামীরা জানে (নাউজুবিল্লাহ)। পরকীয়ার সীমাহীন বেদনায় হাজার হাজার পরিবার ভেঙে যাচ্ছে। যাদের বিকল্প পথ নেই তারা হয়তো জীবিকার প্রয়োজনে একসঙ্গে থাকে কিন্তু নিত্যকার ঝগড়াঝাটি, অবিশ্বাস, মারামারি আর গুঁতাগুঁতিতে প্রতিটি ঘরের ছাদের নিচের অংশ যেন একেকটা জাহান্নামের টুকরা হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মূল্যবোধ, ভেঙে পড়েছে পারিবারিক বন্ধন, একে অপরকে শ্রদ্ধা তো দূরের কথা উল্টো মূল্যবোধ প্রবল থেকে প্রবলতর হচ্ছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে বিবাহ বিচ্ছেদ, একজন অন্যজনের সঙ্গে পাল্টা দিয়ে একই ধরনের অনৈতিক কর্মে জড়িয়ে পড়ছে, নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়াসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। সামাজিক-পারিবারিক এবং ব্যক্তির এতসব নৈতিক অবক্ষয়ে আমরা কেমন যেন চুপ থেকে ক্রমাগতভাবে ধ্বংসের দিকে এগুচ্ছি। অন্যদিকে রাষ্ট্র যেন এসব ব্যাপারে মূক ও বধির হয়ে গেছে। বলতে গেলে অনেক বলা যাবে- রচনা করা যাবে মহাকাব্য কিংবা ডিজিটাল কাম শাস্ত্র। সেদিকে না গিয়ে সুহালার প্রসঙ্গ বলে আজকের লেখা শেষ করব। সুহালা জানাল যে, তার অতি ধার্মিক জামাই ইদানীং দুটি মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া করছে এবং রাত-বিরাতে বাইরে সময় কাটাচ্ছে। সংসারে একদম মন নেই। তাকে ২০ লাখ টাকা সাধছে এবং বলছে- যেখানে খুশি সেখানে চলে যাও, যা ইচ্ছা তাই কর কিন্তু আমার পথে বাধা হইয়ো না। ছেলেমেয়েরা অসহায় অবস্থায় বাবা-মার ঝগড়াঝাটি, মারামারি দেখতে দেখতে বিপথে চলে যাচ্ছে- লেখাপড়া করছে না। এ অবস্থায় সুহালা কি করবে, এমন প্রশ্নের উত্তরে আমি বললাম- পারলে তথ্য-প্রমাণসহ স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা কর, নইলে চুপচাপ থাক। মাঝামাঝি অবস্থানে থেকে ঝগড়াঝাটি করে হররোজ মার খাওয়ার দরকার নেই আর স্বামীর দেখাদেখি নিজেকে কুপথে চালিত কর না- তোমার পোশাক-আশাকের পরিবর্তন আমার কিন্তু ভালো লাগেনি। সুহালা কি বুঝলো বলতে পারব না তবে সে আগের মতো কাঁদল না- বরং নির্লিপ্তভাবে উঠে দাঁড়াল এবং বলল- আচ্ছা ভাইয়া ঠিক আছে- দোয়া করবেন!
Share/Bookmark

Saturday, June 13, 2015

COPYRIGHT AND IP OWNERSHIP SELLING OFFER BY $100,000 USD

COPYRIGHT AND IP OWNERSHIP SELLING OFFER BY $100,000 USD
Share/Bookmark

Thursday, June 4, 2015

মূত্রনালীর প্রদাহ, প্রস্রাবে জ্বালা পোড়া এবং চিকিত্সা


Share/Bookmark